কালবেলা-kalbela উপন্যাস রিভিউ।। সমরেশ মজুমদার

বই: কালবেলা 
লেখকঃ সমরেশ মজুমদার 
প্রথম সংস্করণঃ ১ বৈশাখ ১৩৯০ থেকে বিংশ মুদ্রণ পৌস ১৪০৭। 
রিভিউ লিখেছেন: সোনিয়া আক্তার

বইঃ কালবেলা

"কালবেলা" উপন্যাসটি সমরেশ মজুমদারের উপন্যাস গুলোর মধ্যে অন্য একটি উপন্যাস।কালবেলা শব্দের অর্থ অশুভ সময়। ঠিক তেমন উপন্যাসটির মধ্যে নিখুনত ভাবে অশুভ সময় টাকে উপস্থাপন করা হয়েছে। অনিমেষ মিএ সাধারণ পরিবারের একটি ছেলে শিলিগুড়ি বাড়ি। ছোটো থেকে মাতৃস্নেহ হারা। তার দাদু কাছে ছেলেবেলা থেকে বড়ো হয়ে উঠেছে। বাবার সপ্ন পূরণ করতে কলতায় চলে আসে। এখানে এম. এ পড়া শুরু করে কলেজ হোস্টেলে থেকে। অনিমেষ কলকাতায় পা রেখেছিলো তখন রাস্তায় ট্রাম জ্বলছে গুলি চলছে কলকাতার অবস্থা ভালো ছিলো না। এসে পায়ে গুলি খেয়েছিলো পুলিশের হাতে। ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিলো। তখন সেখানে অনিমেষের বাবার বন্ধু ছিলের তাক কাছে সে অনিমেষকে সুস্থ করে তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে। বেশকিছু সেখানে থাকার পর হোস্টেলে চলে যায়। অনিমেষ ছিলো খুবই চিন্তা করলো এভাবে কলকাতার মাটিতে টিকে থাকা যাবে না। সংগ্রামের জন্য যোগ দিলো এক রাজনৈতিক দলে। তখন অনিমেষের জীবনে মাধবীলতা এলো। মাধবীলতা হলো তার কলেজের সহপাঠী। তবে কখনো সেভাবে কথা হয়নি। একদিন ট্যাক্সিতে তাদের কথা হয় সেখান থেকে শুরু হয় নতুন এক অধ্যায়। কিন্তু মাধবীলতা জানতো অনিমেষের জীবনে কোনো ঠিক নেই সে রাজনীতি দলের সাথে কাজ করে দেশের জন্য। যাতে দেশের মানুষ স্বাধীন ভাবে বাঁচতে পারে। ভারতবর্ষ স্বাধীন থাকলেও প্রকৃত পক্ষে পরাধীন ছিলো।
অনিমেষ জীবনে কি করতে পারবে বা পারবে না এম.এ পাশ করে ভালো কোনো চাকরিও সে পাবে না এসবই মাধবীলতা জানতো তবুও তাকে ভালোবাসেছে স্বার্থহীন ভাবে। অনিমেষকে সে কোনো কিছুতে বাধা দিতো না বন্ধি করে রাখতো না। কারণ মাধবীলতা জানে অনিমেষ ভুল কিছু করবে না বা যা করছে ঠিক। মাধবীলতা তার সব কিছু ছেড়ে দিয়েছিলো অনিমেষকে ভালোবাসে। নিজেরে পরিবার থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিলো। তবুও সে অনিমেষকে ছেড়ে দেয় নি। আজকাল খুব কম মেয়ে আছে যে মাধবীলতার মতো করে ভালোবাসতে জানে। মাধবীলতা বিয়ে না হয়েও গর্ভবতী হয়েছিলো, এটা আমাদের বর্তমান সমাজ মেনে নিতে পারেনি। তাকে অনেক লাঞ্চনা -বঞ্চনা সহ্য করতে হয়েছে। কিন্তু সেই সময়টা অনিমেষ ছিলো সংগ্রামের মাঠে থাকতে সে জানতেও পারে নি। মাধবীলতা তবুও হাল ছাড়েনি। অনিমেষের জন্য অপেক্ষায় প্রহর গুনছিলো। অনিমেষ যখন ধরা পরে গিয়েছিলো পুলিশের হাতে তখন কিছু ইনফরমেশনের জন্য অনেক অত্যচার করেছিলো শেষমেস মাধবীলতাকে গর্ভবতী অবস্থায় পুলিশ অনেক অত্যচার করেছিলো কিন্তু তবুও তারা মুখ খুলেনি। একটা সময় মাধবীলতার ছেলে সন্তান হলো অনিমেষ তখন জেলে। অনেল গুলো বছর কেটে যাওয়ার পর জেল থেকে মুক্তি পেয়ে মাধবীলতাকে সে অন্য এক রুপ দেখেছিলো যা আগের মাধবীলতা আর নেই। ছেলেকে নিয়ে সে অনেক কষ্টে অনিমেষের অপেক্ষায় ছিলো। তবুও দুইজন দুইজনকে ভুলে যায়নি তাদের বিশ্বাস অটুট ছিলো এর জন্যই হয়তো শেষে এসে তারা আবার একত্রিত হতে পেরেছিলো।

"কালবেলা" উপন্যাসটিতে সত্যি এক সংগ্রমের কাহিনি রেয়েছে অনিমেষ বাইরে লড়েছিলো এবং তার অর্ধাঙ্গিনী মাধবীলতাও লড়েছিলো সমাজের সাথে।সমাজের সাথে তখন যে মাধবীলতা টিকে ছিলো তখনকার সমাজে এটাও বড়োই এক কঠিন লড়াই কারণ সমাজে মেয়ের জন্য রেয়েছে নানা বিধি নিষেধ। তাদের ভালোবাসা ছিলো এক পবিএ ফুলের মতো এর জন্যই হাজার বাধা বিপত্তির পর তারা আবার এক হয়েছে সাথে তাদের সন্তান সহ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ