মেঘ বলেছে যবো যাবো-Megh Boleche Jabo Jabo বইয়ের রিভিউ

বইঃ মেঘ বলেছে যবো যাবো 

লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ 

প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭ 

ধরণঃ উপন্যাস 

পৃষ্ঠাঃ ২২৪ 

মূল্যঃ ৪০০৳ 

রিভিউ লিখেছেন: রাকিব আবরার


★ কাহিনীর মূল চরিত্রঃ হাসান, তিতলী, মতিম সহেব, সুরাইয়া, নাদিয়া, রীনা, তারেক, রকেটও বুলেট, রকিব, লায়লা, রহমান, চিত্রলেখা, আশরাফুজ্জামান সাহেব। 

হুমায়ুন আহমেদের লেখা "মেঘ বলেছে যাবো যাবো" উপন্যাসটি পড়ে খুব ভালো লেগেছে।আমার পড়া সেরা উপন্যাসের তালিকায় এটা।  বইটা পড়ার পর চোখে পানি ধরে রাখতে পারিনি। 


এই উপন্যাসটি একটি  মধ্যবিত্ত পরিবার কে নিয়ে লিখা... মধ্যবিত্ত দের সুখ দুঃখ,চাওয়া পাওয়া,আনন্দ,জীবনযাপন, ভালোবাসা,কষ্ট, ব্যর্থতা এইগুলা নিয়েই উপন্যাসটি লেখা..." মেঘ বলেছে যাবো যাবো " উপন্যাসে মানুষের জীবনের অনেকগুলো মুহুর্ত তুলে ধরা হয়েছে। ভালো- খারাপ, হাসি -কান্না সকল কিছুই। 

উপন্যাসটি শুরু হাসানের এক উদ্ভুত স্বপ্ন দেখা দিয়ে,সে প্রায়ই রাতে এই একই স্বপ্ন দেখে 

কেন্দ্রীয় চরিত্র হাসান। তাকে ঘিরেই সকল চরিত্র খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে.।

হাসানের পরিবারে বাবা-মা, দুইভাই, ভাবি, ভাইয়ের দুই ছেলে আর ছোট বোন।

 পরিবারের সবচেয়ে  মমতাময়ী চরিত্র হচ্ছে রীনা ভাবি। সে হাসি-ঠাট্টা করতে পছন্দ করে। হাসানকে ভীষণ স্নেহ করে ভাবী। তার মতে যদি পৃথিবীতে পাঁচজন ভালো ছেলের তালিকা করা হয় সেখানে হাসানের নাম থাকবে।

সে প্রায় রাতে একই স্বপ্ন দেখে সে স্বপ্নে দেখে সে হাসেদের সাথে পানিতে হেটে বেরাচ্ছে,খাবার খুজছে, শামুক খাচ্ছে,এই স্বপ্নের কথা সে লজ্জায় কাউকে বলতে পারেনা, শুধু তিতলীকে বলেছে। এর সমাধান স্বরূপ তিতলী বলেছে সে একদিন সে হাসানকে হাঁসের মাংস রান্না করে খাওয়াবে তবেই হাসানের এই স্বপ্ন দেখা বন্ধ হবে।সিঁড়িতে ধাক্কা খেয়ে দুজনের প্রথম দেখা, এরপর আস্তে আস্তে শুরু হয় প্রেম। তবে হাসান তিতলী কে যতটা ভালোবাসে ততটা প্রকাশ করতে পারেনা, এই নিয়ে তিতলী প্রায়ই মন খারাপ করে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ